আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। জনগণ যদি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, অনুমোদন দিলেও সে দল দাঁড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগের যারা অন্যায় করেছে, ভুল করেছে, তাদের বিচার হবে এবং আইনের ধারা বিচারের ধার দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের শাস্তি হবে। কিন্তু কোন পরিষদ সিদ্ধান্ত নিলেই সেটা কার্যকর হবে বা সেটাই শুদ্ধ, সেটা ঠিক না।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, এখন একটা বৈরী হওয়া বইছে, একটা জিনিস বুঝতে হবে শেখ হাসিনার দল, মাওলানা ভাসানীর তৈরি করা দল, বঙ্গবন্ধুর লালন পালন করা দল। যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। সেই হুজুর মাওলানা ভাসানীর দল ও বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না। সেটা সিদ্ধ হবে না নিষিদ্ধ হবে, রায় দেওয়ার মালিক হচ্ছে জনগণ।রবিবার (১১ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতীহাটি গ্রামে এলাকার মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি পাক-ভারত চলমান যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়তে পারে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনকার দিনে যুদ্ধ কোন ছেলে খেলা না। দুই একটা গুলি ছোরা এক না। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হতে পারে না।যুদ্ধ হলে এমন ভয়াবহ হবে সারা পৃথিবীতে তার প্রভাব পড়বে। ভারত সরকার তারা মানুষের নজরে ভালো হওয়ার জন্যে যা করেছে অনেকের কাছে ধরাও পড়েছে। এগুলো রাজনীতি না।
তিনি আরও বলেন, ভারত মহাচালকের দেশ, এই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ চালকের দেশ ভারত। তারা কেন ছেলে খেলা করবে। বর্তমান সরকার যারা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারতের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যুদ্ধ হলে সারা পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এখন কোন যুদ্ধেই তার একার না। আমরা নিকটবর্তী প্রতিবেশী আমাদের উপর অবশ্যই প্রভাব পড়বে।
এসময় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় নেতা বীর প্রতীক আব্দুল্লাহ, কালিহাতী উপজেলা যুব আন্দোলনের আহবায়ক এস.এম নাজমুল আলম ফিরোজ, বল্লা ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি মোস্তফা আনসারী, সাধারণ সম্পাদক সাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।