বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ফেনী জেলা সদর থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোজাম্মেল হোসেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার তেতুলিয়া দক্ষিণপাড়ার দেলাজ মিস্ত্রির ছেলে। উপজেলার গোড়াই বালুর মাঠ এলাকায় একটি টিনসেড পাকা বাড়ী ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে বাস করতেন মোজাম্মেল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোজ্জামেল হোসেন গোড়াই-সখিপুর সড়কে সিএনজি চালাতো। তার স্ত্রী গোড়াই সাউথ ইস্ট টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করেন। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে তারা গোড়াই এলাকার ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। গত ২৭ মার্চ সকাল ছয়টা দশ মিনিটে শিশু কন্যাকে বাসায় রেখে তার মা কারখানায় চলে যান। দুপুরে তার মা বাসায় ফিরলে শিশুটি জানায়, তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যথা করছে। পরে ব্যাথার ওষুধ কিনে খাওয়ান মা। কিন্ত তাতেও ব্যথা না কমায় ৫ এপ্রিল মেয়েটি তার মাকে জানায়, বাড়িতে একা পেয়ে তার বাবা তাকে ধর্ষণ করে ব্যথা দিয়েছে। একথা কাউকে বললে তাকে জানে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন তার বাবা।এদিকে ঘটনা জানার পর শিশুটির মা ওইদিনই মির্জাপুর থানায় বাবা মোজাম্মেল হোসেনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। এদিকে মামলার পর থেকে ধর্ষক মোজাম্মেল আত্মগোপনে চলে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী জেলা সদর থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী জেলা সদর থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে সে তার মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।