শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল উপজেলার চাকদহ বাজারের পাশে বংশাই নদে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মেশিনটি অপসারণ করে।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়।
এর আগে ড্রেজার ব্যবসায়ী হাতীবান্ধা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য খোকন মিয়া, হাতীবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ছেলে আসিফ ও আসলাম মিয়া গংদের বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সখীপুর বরাবর একটি অভিযোগ ও যৌথ স্বাক্ষরিত একটি স্মারক জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বরাবর প্রেরণ করেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা। অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
গত ৫ মার্চ হাতীবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সাঈদা নাজনীন ওই স্থানে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারপরও প্রকাশ্যে চলেছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব । বংশাই নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে চাকদহ বাজারে যাওয়ার সড়ক ও বালু উত্তোলনের স্থানের আশপাশের জমি। গত ১৪ মার্চ দিবাগত রাতেও চলেছে বালু উত্তোলন। বেশ কিছুদিন যাবত ওই এলাকার মূল আলোচনায় ছিল প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলে কিভাবে? ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পর উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
আদালত পরিচালনাকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ বলেন, অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে গেলে ড্রেজার মেশিনটি অপসারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এরআগে অবৈধ মাটি কাটা ও বালু উত্তোলণে ‘জিরো ট্রলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।