সর্বশেষ

সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫

২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন:টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের নামে মামলা

২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন:টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের নামে মামলা

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনের আয়োজন এবং ভোট চুরির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে এমপি নির্বাচিত করার অভিযোগে টাঙ্গাইলে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) টাঙ্গাইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভূঞাপুর থানা আমলী আদালতে কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রুমেলিয়া সিরাজাম মামলাটি আমলে নিয়ে ভূঞাপুর থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদি কামরুল হাসান (৫৫) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।

মামলায় আসামির তালিকায় শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ১৫০-২০০ জনকে।শেখ হাসিনা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর) আসনের সাবেক এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী আব্দুল আওয়াল, তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।

এছাড়া পুলিশ ও প্রিজাইডিং অফিসারসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।বাদি মামলায় উল্লেখ করেন, ‘আমাদের শত্রু রাষ্ট্র ভারতের নির্দেশক্রমে শেখ হাসিনা অন্য আসামিদের সাথে যোগসাজশ করে বিগত ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেন। বাদি কামরুল হাসান ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের ভারই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন। তিনি অন্য ভোটারদের সাথে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। আসামিরা তাকে মারপিট করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। নির্বাচনে পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসারের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। এভাবে অন্যের ভোট চুরি করে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনিরকে এমপি পদে নির্বাচিত করা হয়। এতে দেশ ও জনগণের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।’

বাদিপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইল বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু রায়হান খান বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে ভূঞাপুর থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সেইসাথে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত। আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

সখীপুরে এসএসসি পাশে রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লেখেন সাইফুদ্দিন

সখীপুরে এসএসসি পাশে রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লেখেন সাইফুদ্দিন

সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে এসএসসি পাশ করে ফার্মেসী ব্যবসার আড়ালে নিয়মিত রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লিখছেন সাইফুদ্দিন নামের এক ভুয়া চিকিৎসক।উপজেলার তক্তারচালা বাজারে মিনহাজ মেডিক্যাল হল নামের এক ফার্মেসীতে ওই ভুয়া চিকিৎসক প্রতিনিয়ত রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

স্থানীয়রা জানান, সাইফুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। তিনি সাদা প্যাডে ওষুধ লিখে তাতে নিজের স্বাক্ষর এবং ডাক্তার পরিচয় সম্বলিত সিল লাগিয়ে বসিয়ে দেন বলেও স্থানীয়রা জানান। রোববার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তক্তারচারা বাজারে মিনহাজ মেডিক্যাল হলে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। 

রোগীদের দেয়া প্রেসক্রিপশনে দেখা যায়, নাম, স্বাক্ষর এবং ‘ডাঃ সাইফুদ্দিন’ লেখা একটি সিল ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সাইফুদ্দিন প্রায় ৭-৮ বছর ধরে এভাবে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং নিজের প্যাডে প্রেসক্রিপশন লিখছেন।

অভিযুক্ত সাইফুদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি দাবি করেন, ‘ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য আমি ‘ডাক্তার’ পরিচয়ের সিল বানিয়েছি। পরে প্রতিবেদকের সাথে কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লেখার বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। এসএসসি পাশের বাইরে চিকিৎসা নিয়ে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বলেও তিনি স্বীকার করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই নির্বিঘ্নে এখনো এই অবৈধ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রেসক্রিপশন লিখেন। এতে গ্রামের সহজ-সরল মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।

সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
কালিহাতীতে মুরগি ফার্মের কর্মচারীর জ"বাই করা লা"শ উদ্ধার

কালিহাতীতে মুরগি ফার্মের কর্মচারীর জ"বাই করা লা"শ উদ্ধার

সাইদুর রহমান সমীর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আকতারুল হক (৩৫) নামে এক মুরগি ফার্মের কর্মচারীর জ'বাই করা লা'শ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কালিহাতীর বল্লা ইউনিয়নের বলদকুড়া চুঙ্গিপাড়া এলাকায় মুরগি ফার্মের ডেন থেকে জবাই করা লা'শ উদ্ধার করে পুলিশ।

নি'হত আকতারুল হক দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি উপজেলা বল্লা দক্ষিণপাড়া মোরশেদ আলমের মুরগি ফার্মে কাজ করতেন।

মুরগি ফার্ম মালিক মোরশেদ আলম জানান, প্রায় ১০ মাস আগে এক লোকের মাধ্যমে তার ফার্মে কাজ নেন আখতারুল হক। তিনি মুরগি ফার্মে কাজ একাই করতেন। 
বোববার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাতে পান তার মুরগি ফার্মের পিছনের ডেনে লা'শ পড়ে আছে। এসে দেখেন তার মুরগি ফার্মের কর্মচারি আকতারুল হকের লা'শ। পরে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে জ'বাই করা লা'শ উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন।

কালিহাতী থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, রোববার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জ'বাই করা লা'শ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতে যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা তাকে জ'বাই করে হ"
ত্যা করে ফেলে গেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

কালিহাতীতে নির্জন বাড়ীর শয়নকক্ষে নারীর র"ক্তা'ক্ত লা"শ উদ্ধার

কালিহাতীতে নির্জন বাড়ীর শয়নকক্ষে নারীর র"ক্তা'ক্ত লা"শ উদ্ধার

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে খোদেজা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর নির্জন বাড়ীর শয়নকক্ষে র'ক্তা'ক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ী পশ্চিমপাড়া (জামাইপাড়া) গ্রামে রেললাইন সংলগ্ন নির্জন নিজ ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে তার লা'শ উদ্ধার করা হয়।

নিহত খোদেজা বেগম ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত আতোয়ার রহমানের স্ত্রী। এঘটনায় পুলিশ রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে নিজ ঘরের শযনকক্ষে নিহত খোদেজা বেগমের নাক মুখ র'ক্তাক্ত ও কপালে আ'ঘাত চিহ্ন রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, খোদেজা বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ১০/১২ বছর আগে মা'রা গেছেন। খোদেজা বেগম যমুনা সেতু-জামালপুর রেললাইন সংলগ্ন নির্জন বাড়ীতে একাই বসবাস করে আসছিলেন। তার কোনো সন্তান নেই। তার একটি পালিত ছেলে রয়েছে। তাকে হ'ত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

পালিত ছেলে আসাদুজ্জামান বলেন,গত ১৩ মে বাড়ীতে এসে দেখে গেছেন। দুইদিন যাবত মোবাইল ফোনে মাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। 
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ ঘরে সিদকাটা ছিল।
মা শয়নকক্ষ র'ক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ধারণা করছি আমার মাকে হ'ত্যা করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার কালিহাতী (সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, নিহতের লা'শ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর সঠিক রহস্য উদঘাটন করা যাবে। তবে তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

টাঙ্গাইলে পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

টাঙ্গাইলে পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

টাঙ্গাইলে গর্ভের বাচ্চাসহ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে এক মাংস ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল এ অভিযান পরিচালনা করেন।


শুক্রবার (১৬ মে) সকালে শহরের বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টাঙ্গাইলের জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।জানা যায়, শহরের বটতলা বাজারে সোহেল মাংসের দোকানে সদর উপজেলার চিলাবাড়ির পাইকপাড়া গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মাংস ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। শুক্রবার বটতলা বাজারে পৌরসভার কসাইখানা পরিদর্শক সিল মারতে গিয়ে গর্ভবতী গরুটি শনাক্ত করেন। পরে সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গরুটির গর্ভে দুই মাসের একটি বাচ্চা ছিল বলে জানান।


টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. শাহিন আলম বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে শহরের বটতলা বাজারে সোহেলের মাংসের ঘরে একটি গর্ভবতী গরু জবাই করা হয়েছে বলে খবর পাই। পরে গরুটি পরীক্ষা করে দেখা যায় গাভীটির গর্ভে প্রায় দুই মাসের বাচ্চা ছিল।জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, সকালে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বটতলা বাজারে উপস্থিত হই। সেখানে মাংস ব্যবসায়ী সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অকপটে সব দোষ স্বীকার করে নেন। এরপর তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত ৭০ কেজি মাংস জব্দ সবার সামনে মাটিতে পুতে রাখা হয়।


এ সময় ঘটনাস্থলে সদর উপজেলার সেনেটারী ইন্সপেক্টর সাহিদা আক্তার, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল ও এএস আই মিলনসহ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

টাঙ্গাইলে ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার, ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার

টাঙ্গাইলে ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার, ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে একটি ফ্যাক্টরিতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতিকৃত ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৪ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামুন মেকার, মাসুদ, সুরুজ আলী, নাঈম, রাসেল, কাজল ড্রাইভার, রাশেদুল ইসলাম, নান্নু মিয়া ও বেল্লাল হোসেন

সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ মে রাত আড়াইটার দিকে মধুপুর উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নে অবস্থিত আনাম গ্রীন ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টরিতে অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনের একদল ডাকাত ফ্যাক্টরির মেইন গেটের তালা কেটে ফ্যাক্টরির ভিতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে রেখে ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় ডাকাতদল ২৫০ কেভিয়ে সাব- স্টেশনের ট্রান্সফরমার, জেনারেটর ও তারসহ প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে পিকআপ যোগে পালিয়ে যায়। পরে আনাম গ্রীণ ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টরির ইনচার্জ মো. তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় এজাহার দাখিল করেন। এ ঘটনায় সাভার, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরও জানান, ডাকাতদের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক আশুলিয়া থানার বলিভদ্র এলাকায় মামুনের ভাঙ্গারী দোকান থেকে মালামাল এবং ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত মিনি পিকআপ উদ্ধার ও ডাকাতিকৃত মালামাল খরিদ করার দায়ে নান্নু মিয়া ও বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার, ১১ মে, ২০২৫

কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না: কাদের সিদ্দিকী

কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না: কাদের সিদ্দিকী

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। জনগণ যদি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, অনুমোদন দিলেও সে দল দাঁড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগের যারা অন্যায় করেছে, ভুল করেছে, তাদের বিচার হবে এবং আইনের ধারা বিচারের ধার দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের শাস্তি হবে। কিন্তু কোন পরিষদ সিদ্ধান্ত নিলেই সেটা কার্যকর হবে বা সেটাই শুদ্ধ, সেটা ঠিক না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, এখন একটা বৈরী হওয়া বইছে, একটা জিনিস বুঝতে হবে শেখ হাসিনার দল, মাওলানা ভাসানীর তৈরি করা দল, বঙ্গবন্ধুর লালন পালন করা দল। যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। সেই হুজুর মাওলানা ভাসানীর দল ও বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না। সেটা সিদ্ধ হবে না নিষিদ্ধ হবে, রায় দেওয়ার মালিক হচ্ছে জনগণ।রবিবার (১১ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতীহাটি গ্রামে এলাকার মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।


সম্প্রতি পাক-ভারত চলমান যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়তে পারে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনকার দিনে যুদ্ধ কোন ছেলে খেলা না। দুই একটা গুলি ছোরা এক না। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হতে পারে না।যুদ্ধ হলে এমন ভয়াবহ হবে সারা পৃথিবীতে তার প্রভাব পড়বে। ভারত সরকার তারা মানুষের নজরে ভালো হওয়ার জন্যে যা করেছে অনেকের কাছে ধরাও পড়েছে। এগুলো রাজনীতি না।


তিনি আরও বলেন, ভারত মহাচালকের দেশ, এই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ চালকের দেশ ভারত। তারা কেন ছেলে খেলা করবে। বর্তমান সরকার যারা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারতের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যুদ্ধ হলে সারা পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এখন কোন যুদ্ধেই তার একার না। আমরা নিকটবর্তী প্রতিবেশী আমাদের উপর অবশ্যই প্রভাব পড়বে।


এসময় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় নেতা বীর প্রতীক আব্দুল্লাহ, কালিহাতী উপজেলা যুব আন্দোলনের আহবায়ক এস.এম নাজমুল আলম ফিরোজ, বল্লা ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি মোস্তফা আনসারী, সাধারণ সম্পাদক সাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।