সর্বশেষ

সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫

আউলিয়াবাদ আঞ্চলিক গ্রাজুয়েট এসোসিয়েশন উদ্যগে ফুটবল ফাইনাল  খেলা অনুষ্ঠিত

আউলিয়াবাদ আঞ্চলিক গ্রাজুয়েট এসোসিয়েশন উদ্যগে ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইলে প্রতিনিধি : টাংগাইলের কালিহাতী আউলিয়াবাদ গ্রামে আলাউদ্দীন সিদ্দিকী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে আউলিয়া বাদ আঞ্চলিক গ্রাজুয়েট এসোসিয়েন ফুটবল ফাইনাল  খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন জনাব আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। 

অনুষ্ঠানে টি সভাপতিত্ব করেন জনাব আব্দুল কাশেম সভাপতি আউলিয়াবাদ আঞ্চলিক গ্রাজুয়েট এসোসিয়েন।উক্ত ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করেন ঘাটাইল একাদশ বনাম সখিপুর খেলায় ঘাটাইল একাদশ ২/০গোলে বিজয়ী হয়ে প্রথম পুরস্কার ফ্রীজ পাব আর দ্বিতীয় স্হান অধিকারীগনকে এলএডি ৩২" টিভি পুরস্কার দেওয়া হয়।ফুটবল ফাইনাল খপলাটু সার্বিক সহযোগিতা করেন এ্যাডভেকেট মোঃ আফরোজ হোসেন আউলিয়াবাদ আন্ঝলিক গ্রাজুয়েট এসোসিয়েন এর সাধারণ সম্পাদক খেলা শেষে উভয় পক্ষের খোলোয়ারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাবেক মন্ত্রী জননেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। 

গ্রাম বাংলা জনপ্রিয় খেলা উপভোগ করতে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হোন। আউলিয়া বাদ আন্ঝলিক গ্রাজুয়েট এসোসিয়েন পরিচালনা /কার্যকারী কমিটির সকল সদস্য গন উপস্থিত থেকে সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ করা হয়

বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

কালিহাতীতে রাস্তার পাশ থেকে  যুবকের লাশ উদ্ধার

কালিহাতীতে রাস্তার পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :
কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ধল্লাই মোড়ে এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে।
০৬ এপ্রিল শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা দেখে কালিহাতী থানায় খবর দেয়।
ঢাকা টাংগাইল রোড়ে যানবাহনের চাপ থাকায় গোড়াই থেকে  সখিপুর হয়ে কালিহাতীর সরু রাস্তা দিয়ে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করছে ঘরমুখো মানুষ। 
পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করলে লাশের সাথে এনআইডি কার্ডের পাওয়া যায়, এনআইডি কার্ডের তথ্য মতে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার কয়ড়াপাড়া গ্রামের মোতালেব ছেলে রানা ইসলাম(২৬)।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার্স ইনচার্জ জাকির হোসেন যানান, পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে  লাশটি ময়নাতদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫

সখীপুরে মানব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

সখীপুরে মানব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মানব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার(৫ জুন) সকালে উপজেলার পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ড বায়তুল মামুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এসব ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

মানবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো: মজিবর রহমান খানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী সিকদার।

এছাড়া বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মানব কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা আছিম পাটুয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মজনু, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মানবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মজিবর রহমান খান জানান, অন্তত ৮৫ পরিবারের মাঝে ১ কেজি চিনি, ১ টি সেমাই, ১ প্যাকেট দুধ, ২ টি সাবান, ১ কেজি সুগন্ধি চাউল ও সয়াবিন তেল বিতরণ করা হয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইল মওলানা ভাসানি আদর্শ কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রভাষক মো. আমির হামজা জানান, আমাদের এই আয়োজনে আমরা আমাদের সাধ্যমতো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আমরা এলাকার বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করবো।

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

কালিহাতীর পারর্খী ও নাগবাড়ীতে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

কালিহাতীর পারর্খী ও নাগবাড়ীতে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা পারর্খী ও নাগবাড়ী ইউনিয়নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

রোববার সকালে ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডাঃ শাহ আলম তালুকদারের নিজ বাড়ি আমজানী ও সরিষা আটা পরে দুপুরে নাগবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
 
নাগবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রতনের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডাঃ শাহ আলম তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি একেএম আব্দুল আউয়াল, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক, নাগবিড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন,ঢ়াকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা আমিনুল ইসলাম।
 
বক্তারা বলেন,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সততা, নিষ্ঠাবান এদেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন তিনি। 

এসময় নাগবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি ও উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

সখীপুরে বন বিভাগের চারা রোপণে তুলে ফেলা হলো কলাগাছ , ক্ষতির মুখে কৃষক

সখীপুরে বন বিভাগের চারা রোপণে তুলে ফেলা হলো কলাগাছ , ক্ষতির মুখে কৃষক

টাঙ্গাইলের সখীপুর বন বিভাগের উদ্যোগে নতুন বনজ চারা রোপণের অংশ হিসেবে একটি কলাবাগানের কলাগাছ উঠিয়ে এবং কিছুসংখ্যক কেটে ফেলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় এক কৃষক পরিবার। শনিবার (৩১ মে) সকালে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হালিম পিরসাহেবের চালা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 

জমির দাবিদার বিল্লাল হোসেন বলেন, শতবর্ষ ধরে আমাদের পরিবার ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছে। নিজের হাতে কলাগাছ লাগিয়েছে, যত্ন করছে, ফল আসার মুখে বন বিভাগ এসে বিনা নোটিশে কলা গাছ উঠিয়ে ফেলছে। প্রায় ১০০০ কলা গাছ উঠিয়ে ফেলায় আর্থিকভাবে আমার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হল।বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো পূর্ব সতর্কতা, আলোচনা বা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি প্রমাণিত হয় যে জমিটি আমাদের নয়, তবুও ফলন তোলার সময় পর্যন্ত তো সুযোগ দেওয়া যেত। কলাগাছ তুলে, ক্ষতি করে এখন যদি বলা হয় এটা বনভূমি, তাহলে আমাদের এত বছর কেন কিছুই বলা হয়নি? 

তিনি আরও বলেন, আমি ইউএনও মহোদয়, এসিল্যান্ড মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানাই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত হোক, আমাদের যেন ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়। দয়া করে আমাদের জীবন রক্ষার ব্যবস্থা করুন।এলাকাবাসীর অনেকে জানান, বিল্লাল হোসেন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। হঠাৎ করে বন বিভাগের এই উদ্যোগে তারা হতাশ।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, সরকার বন রক্ষা করুক, আমরা চাই। কিন্তু সেই বন যদি গরিবের পেটের ভাত কেড়ে নেয়, সেটা তো ন্যায় হয় না।বিষয়টি নিয়ে সখীপুর বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, এর আগে তাদেরকে সর্তক করা হয়েছে, কিন্তু বিষয়টি তারা আমলে নেয়নি। কিছু গাছ উঠানো হয়েছে। পরে তাদের অনুরোধে এবং বনের চারা কোন ক্ষতি না করার শর্তে কলাবাগানের ভেতর দিয়ে বনের চারা রোপন করা হয়েছে। 

সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, জমির দাবিদার মালিক ও বন বিভাগ কর্মকর্তাদের নিয়ে বসে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইল ডিসি অফিসের কর্মচারী জামালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইল ডিসি অফিসের কর্মচারী জামালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

মোঃ জামাল উদ্দিন তার নিজ এলাকায় এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। টাঙ্গাইলের পূর্ব ভূঞাপুরের রফিক , কালিহাতী উপজেলার আদাবাড়ি গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মোঃ মোশারফ দেওয়ানের ছেলে মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, স্থানীয় এক অধ্যক্ষ সহ অনেক সাধারণ মানুষকে ডিসি অফিসের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তিনি জেল খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

মোঃ জামাল উদ্দিনের ভয়ে কেউ এলাকায় মুখ খুলতে সাহস পায়না। মামলা-মোকদ্দমা ,ডিসি অফিস ও মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মোজাম্মেল হোসেন অনিক নামের জনৈক ব্যক্তি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর পৃথক পৃথক লিখিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

ওই অভিযোগে জেলা প্রশাসকের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ক্ষমতা ব্যবহার করে জনসাধারণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন,অন্যায়ভাবে হয়রানি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগকারী উক্ত জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন।

তার লিখিত অভিযোগ ও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী মোঃ জামাল উদ্দিন পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিচয় দিয়ে অভিযোগকারী ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন এবং ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। তার ভয়ে এলাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় নাই। 

অভিযোগে আরো বলা হয়, তার তিন ভাই আদম ব্যবসার সাথে যুক্ত আছেন। বিভিন্ন এলাকার মানুষের নিকট থেকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছেন। ভুক্তভোগী টাকা চাইতে গেলে উক্ত জামাল উদ্দিন তাদেরকে তার কার্যালয়ের ভয় দেখিয়ে উল্টা তাদেরকে হয়রানি করেন। তিনি এলাকার অনেককে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। তিনি তাঁর নিজ এলাকায় একজন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। তিনি অনিয়ম দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও জনশ্রুতি আছে। 

অভিযোগপত্র ও তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা শহরের সকল ভবন অনুমোদনের জন্য গঠিত বিসি কমিটির সভাপতি ডিসি মহোদয়। মোঃ জামাল উদ্দিন ভবন অনুমোদনের সময় ভবন মালিকদের নিকট থেকে ডিসির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন ।
বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধা, অস্ত্র জমা দানকারী "সর্বহারা "ব্যক্তিদের নিকট থেকেও তিনি অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার বালু মহাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি ঘাট মালিকদের নিকট থেকে মাসিক ভিত্তিতে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে ।
 এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগন বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকেন । উক্ত মোঃ জামাল উদ্দিন কালো বাজারী , অবৈধ ব্যবসায়ী সহ যেসব স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে সেসব জায়গায় পূর্বেই খবর দিয়ে অবৈধ আর্থিক  সুবিধা গ্রহণ করেছেন।

ডিসি অফিসের পাওয়ার অপব্যবহার করে তিনি জেলার বিভিন্ন তহশিল অফিস থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেন। এসি ল্যান্ড অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তিনি কন্ট্রাকে জনসাধারণকে খারিজ (নামজারি) করে দিয়ে আর্থিক সুবিধা নেন।
নিম্ন আদালতে জামিনের কথা বলে আসামীর নিকট থেকে মৌখিক চুক্তিতে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন।

অভিযোগে বলা হয় ,পতিত  ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিম্ন-আদালতে  বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুরে জন্য আসামী চিহ্নিত করণের দায়িত্বে ছিলেন ওই মোঃ জামাল উদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের জামিন বাতিলের জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী  ডিসিদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেছেন।

অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোঃ জামাল উদ্দিনরা ৭ ভাই, দুই বোন। বাবার সম্পত্তি ছিলো সামান্য। ৯ ভাই বোন মিলে কৃষি জমি ছিলো সর্বসাকুল্যে ১০০ শতাংশ।বর্তমানে তার পরিবারের কৃষি জমির পরিমাণ ৫০০ শতাংশের বেশী। বর্তমানে মোঃ জামাল উদ্দিন অঢেল সম্পদের মালিক। সামান্য বেতনে চাকরি করে ভূঞাপুর উপজেলা শহরে দুই ভাইকে দুইটি বাড়ি করে দিয়েছেন। টাঙ্গাইল শহরে ফ্ল্যাট, বিপুল অংকের  ব্যাংক ব্যালেন্সসহ অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি।

 বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের  আমলের ডিসিদের কাছাকাছি থেকে অবৈধভাবে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ভোলার মামা কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোজহারুল ইসলাম তালুকদারের সুপারিশে তার পদোন্নতি ও ডিসি অফিসে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন।

অভিযোগকারী অভিযোগে বলেন," আমরা যখন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে কালিহাতীতে ও টাঙ্গাইলে মিছিল-সমাবেশ করি তখন তৎকালীন ডিসির দালাল এই জামাল উদ্দিন আমাদেরকে নানাভাবে  ভয় দেখিয়েছেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতাকে আক্রমণ করার জন্য পরিকল্পনা করেছেন।" 
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ জামাল উদ্দিন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, " আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।"

অভিযোগকারী মোজাম্মেল হোসেন অনিক সাংবাদিকদের বলেন, " দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই ।"
মির্জাপুরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

মির্জাপুরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কবিতা বেগম (২৮) নামে এক গার্মেন্টকর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী সুজন মিয়া। স্ত্রীকে হত্যার পর নিজের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তিনি পালিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটেশুক্রবার (৩০ মে) সকালে শ্বশুর কদম আলী সরদার মেয়ের স্বামী সুজন মিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার দুই ঘণ্টা পর উপজেলার দেওহাটা বাজার থেকে পুলিশ সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। 

গত এক যুগ আগে নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মাঝপাড়া কলোনী এলাকার কদম আলী সরদারের মেয়ে কবিতার সঙ্গে মাঝাডাঙ্গা শিঙ্গিমারি গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।কবিতা বেগম গোড়াই এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি আর স্বামী সুজন রিকশার গ্যারেজে মিস্ত্রীর কাজ করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। স্ত্রীকে হত্যার পর সুজন গা ঢাকা দেন। 
পুলিশ জানায়, কবিতা ও সুজন উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। কবিতা হামিম গ্রুপের এক্সফ্লোর গার্মেন্টসে সুয়িং অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।সুজন মিয়া অটোরিকশার গ্যারেজে মিস্ত্রির কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় সুজন মিয়া বটি দিয়ে কুপিয়ে কবিতাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কবিতার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। 

এদিকে মামলার দুই ঘণ্টা পর উপজেলার দেওহাটা বাজার থেকে পুলিশ খুনি সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বামী সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুজন স্ত্রীকে হত্যা করে নিজের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কবিতা বেগম (২৮) নামে এক গার্মেন্টকর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী সুজন মিয়া। স্ত্রীকে হত্যার পর নিজের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তিনি পালিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটেশুক্রবার (৩০ মে) সকালে শ্বশুর কদম আলী সরদার মেয়ের স্বামী সুজন মিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার দুই ঘণ্টা পর উপজেলার দেওহাটা বাজার থেকে পুলিশ সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। 

গত এক যুগ আগে নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মাঝপাড়া কলোনী এলাকার কদম আলী সরদারের মেয়ে কবিতার সঙ্গে মাঝাডাঙ্গা শিঙ্গিমারি গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।কবিতা বেগম গোড়াই এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি আর স্বামী সুজন রিকশার গ্যারেজে মিস্ত্রীর কাজ করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। স্ত্রীকে হত্যার পর সুজন গা ঢাকা দেন। 
পুলিশ জানায়, কবিতা ও সুজন উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। কবিতা হামিম গ্রুপের এক্সফ্লোর গার্মেন্টসে সুয়িং অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।সুজন মিয়া অটোরিকশার গ্যারেজে মিস্ত্রির কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় সুজন মিয়া বটি দিয়ে কুপিয়ে কবিতাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কবিতার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। 

এদিকে মামলার দুই ঘণ্টা পর উপজেলার দেওহাটা বাজার থেকে পুলিশ খুনি সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বামী সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুজন স্ত্রীকে হত্যা করে নিজের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।