Home Blog

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ইউএনওকে প্রত্যাহার

0

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলে নিহত স্কুল ছাত্র মারুফ হাসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্র হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও করটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনুর বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কায়সারুল ইসলাম উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত শিক্ষার্থীরা মজনু চৌধুরীর গ্রেপ্তারের দাবি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যানকে শহীদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগমের উপস্থিতিতে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রত্যাহার দাবি করে স্লোগান দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকবাল হোসেন, পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোতালিব হোসেন, সিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুজায়েদ হোসেন দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে উপজেলা পরিষদে গিয়ে আশ্রয় নেন।

পরে দুপুরে ছাত্র-ছাত্রীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে না গিয়ে কার্যালয়ের সামনে বসে পরে বিক্ষোভ করতে থাকে। সেখানে জেলা প্রশাসক উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে টাঙ্গাইল থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে। কিন্তু উপস্থিত ছাত্ররা হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে সেখানে উপস্থিত হয়ে শহীদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগমের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচন্ড বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহারকৃত ইউএনও সেখানে উপস্থিত হয়ে মারুফের পরিবার ও উপস্থিত সকলের কাছে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলটি করেননি। তার পরও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনায় তিনি নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার জন্য তিনি একক ভাবে দায়ী। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের অন্য কেউ এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয়। বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ও তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।

এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেশ কিছুসংখ্যক সদস্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত ইসলামীর ইফতার মাহফিল

0

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সাংবাদিকদের সম্মানের্থে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে কালিহাতীর জামায়াত ইসলামী কার্যালয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ আলী মিঞা সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি এস এম এনামুল হকের সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন টাঙ্গাইল জেলার নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক।

ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ভূমিকা, সমাজের কল্যাণ এবং সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। শেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

শাবিপ্রবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হলেন সখীপুরের আশিক।

0

দীর্ঘ এক দশক পর গত ১৪ ই মার্চ ২০২৫ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কৃতিসন্তান ও সখীপুর উপজেলা ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য “শেখ মোহাম্মদ আশিক”।

তিনি এর আগে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো:রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির উক্ত কমিটি অনুমোদন করেন।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন “দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর নতুন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠন ছাত্রদলের রাজনৈতিক সক্রিয়তা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ছাত্রদের কাছে তুলে ধরতে ভূমিকা পালন করবে এবং তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাবেন।

দেশপ্রেমিক জনগণকে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সখীপুরের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীকে ছাত্রদলের পতাকাতলে আসার আহবান জানিয়েছেন।

কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

0

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :কালিহাতী উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও অধিকার আদায়ের আপোষহীন সংগঠন ‘কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটি’র উদ্যোগে “১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে কালিহাতী নার্সিং ইনস্টিটিউটের কনভেনশন হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মতিনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সাজ্জাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন সাবেক নেতা ডা. মো.শাহআলম তালুকদার, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা দলের ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর এ কে এম আব্দুল আউয়াল, কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের অধ্যক্ষ মো.মজিবুর রহমান, নারান্দিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহর আলী, কালিহাতী উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, কালিহাতী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক, কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রশিদুল ইসলাম রতন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ডা. শাহআলম তালুকদার বলেন, “পবিত্র রমজান মাস হল সংযমের মাস। রমজান মাস থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী এগারো মাস আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও পরস্পর ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই একটি শান্তিময় দেশ গঠন করা সহজ হবে।
অনুষ্ঠান শেষে ডা. শাহআলম তালুকদার কালিহাতী রিপোর্টাস ইউনিটিকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য একটি কম্পিউটার উপহার দেনএ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রশিদ আহমেদ আব্বাসী
ইফতার শেষে কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যদের নিয়ে ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।

টাঙ্গাইলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায়  অভিযুক্ত আসামি গ্রেফতার

0

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুমন খাঁ (৩০) সাড়ে ৩ মাস পর গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

অভিযুক্ত সুমন উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জয়নাল খা’র ছেলে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে অভিযুক্ত সুমন খাঁকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর বুধবার (১২ মার্চ) আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সুমন খাঁ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হয়ে কিশোরীর দুলাভাই বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেও গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের নেতৃত্বে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে ধর্ষণের মূল্যে হিসেবে ১ লাখ রায় দেয় সালিশকারীরা।

গোবিন্দাসী ইউপি পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। এ ব্যাপারে কয়েক দফা গ্রাম্য সালিশ হয়েছিল। সর্বশেষ ভুক্তভোগী পরিবারকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত এবং সালিশকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুমন খাঁকে গেল মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রশ্রয় দিচ্ছে: আযম খান

0

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

যেখানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসদেরকে আপনারা-আমরা সারা বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করছি। সেখানে দেখলাম একটি রাজনৈতিক দল তারা সকালে বলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিলাম, আবার পরের দিন সকালে বলে গণহত্যাকারীদের বিচার করব।

তিনি বলেন- আরেক দিন বলে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চাই। একেক দিন ওই রাজনৈতিক দলের নেতারা একেক রকম কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্তি করছে। আর সেদিন দেখলাম ফ্যাসিবাদের দোসর যে ফ্যাসিবাদের সাথে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিল, তাকে নিয়ে তারা ইফতার মাহফিলে শরিক হয়েছে। ওই ধরণের দলকে আপনারা চিহৃিত করে আগামী ভোটে প্রত্যাখ্যান করবেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আযম খান বলেন- ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে গেছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সংবিধানিং প্রতিষ্ঠান ও আদালত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সেই ধ্বংস স্তূপ থেকে বাংলাদেশকে গড়ে তুলার জন্য বিএনপিসহ সকল গণতান্তিক দলগুলো মিলে আমরা ড. ইউনুসকে ক্ষমতায় বসিয়েছি।আমরা স্পষ্ট বলেছি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় আপনি নির্বাচন দিন।

ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিনএ সময় কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদুল আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর নবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি প্রমুখ

টাঙ্গাইলে কথায় কথায় হুমকি দিতেন মারইয়াম, ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে অংশ নিতেন প্রশাসনের সভায়

0

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর টাঙ্গাইলের অন্য সমন্বয়কদের থেকে আলাদা হয়ে যান মারইয়াম মুকাদ্দাস (মিষ্টি)। নিজের কিছু অনুসারী নিয়ে চলাচল শুরু করেন। তবে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে অংশ নিতেন প্রশাসনের বিভিন্ন সভায়। কথায় কথায় আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতেন। টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায়ও নেতৃত্ব দেন।

সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’ চালু করার ঘটনায় গত রোববার দিবাগত রাতে মারইয়ামকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা–পুলিশের একটি দল। জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খানের করা মামলায় সোমবার (১০ মার্চ) তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মারইয়াম মুকাদ্দাসের বাড়ি বাসাইল উপজেলার যশিহাটী গ্রামে। তিনি নিজেকে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলেও বর্তমানে প্ল্যাটফরমটির কোনো কমিটিতে নেই। ফলে তাঁর কোনো অপকর্মের দায় নিতে রাজি নন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু হলে মারইয়াম মুকাদ্দাস তাতে যোগ দেন। তবে শুরু থেকেই তাঁর আচরণ ছিল রহস্যজনক। নিজেকে কখনো মাদ্রাসার, কখনো সরকারি এম এম আলী কলেজের, আবার কখনো ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিতেন। ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত নেতারা বলছেন, আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উগ্র বক্তৃতা দিয়ে সবার নজরে আসেন মারইয়াম মুকাদ্দাস। কথায় কথায় আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতেন। এ নিয়ে আন্দোলনে সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তবে সমন্বয়ক পরিচয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন সভায় তাঁকে অংশ নিতে দেখা গেছে। সেসব ছবি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করতেন। ছিন্নমূল মানুষকে নিয়ে মারইয়ামের একটি আশ্রম রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মারইয়াম নিজের কিছু অনুসারী নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এবং সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় ওই বাড়িগুলোর মালামাল লুটপাট হয়। পর্যায়ক্রমে অন্য নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর করারও ঘোষণা দেন।গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মারইয়াম মুকাদ্দাস ফেসবুকে লিখেছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ‘পাগলের আশ্রম’, প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খানের বাসা ‘প্রতিবন্ধীদের আশ্রম’, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বাসা ‘অ্যানিমেল শেল্টার’, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামানের বাসা ‘বৃদ্ধ আশ্রম’, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বাসা ‘এতিমখানা’ এবং আওয়ামী লীগ অফিস ‘পাবলিক টয়লেট’ করা হবে।গত শনিবার শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে ১৮ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষ উঠিয়ে ‘পাগলের আশ্রম’ চালুর ঘোষণা দেন।

এ ঘটনায় জোয়াহেরুলের স্ত্রীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে পাঁচতলা ভবনের কলাপসিবল ফটকের ছয়টি তালা ভেঙে মারইয়াম মুকাদ্দাস অজ্ঞাতনামা আট-নয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন। তাঁরা নগদ ৫ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যান।এ ছাড়া আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁরা ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিন্নমূল মানুষকে ভবনের কক্ষে প্রবেশ করিয়ে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রাখেন।

খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাদী রওশন আরা খান বাসায় গেলে মারইয়াম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এই বাড়িতে বসবাস করতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় আগামী সাত দিনের মধ্যে বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।পরে রাতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই বাড়ি খালি করে। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ জানান, কী উদ্দেশ্যে বাড়ি ভাঙচুর ও দখল করা হয়েছে, রিমান্ডে সে বিষয়ে মারইয়ামের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পেছনে কারও ইন্ধন ছিল কি না, তা–ও দেখা হচ্ছে।

বাড়ি ভাঙচুর ও বাড়ি দখলের হুমকিতে থাকা একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার স্বজনদের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা বলছেন, বাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে তাঁরাও মামলা দায়েরের চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য সরকার পতনের পর থেকেই পলাতক। তাই মামলা করতে বিলম্ব হচ্ছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, মারইয়াম ৬ ফেব্রুয়ারি কয়েক ঘণ্টা ধরে নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর করেন। লুটপাট হয়, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ জন্যই তিনি পরে বাড়ি দখল করারও সাহস দেখিয়েছেন।

তবে মারইয়াম মুকাদ্দাসের বাড়ি ভাঙচুর, দখলসহ নানা কর্মকাণ্ডের দায় নেয়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকেরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইল শাখার সদস্যসচিব আবু আহমেদ শেরশাহ বলেন, ‘ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ কোনো অপরাধ, চাঁদাবাজি, দখলদারি করলে এর দায় আমরা নেব না। এই দায়ভার তার নিজের।’ তিনি জানান, অনেকেই জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মারইয়াম মুকাদ্দাসও ছিলেন। টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি হয়েছে। মারইয়াম সেই কমিটির কেউ নন।

সাবেক এমপির বাড়ি দখল করা সেই নারী সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

0

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় সমন্বয়ক পরিচয়ধারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

রোববার (৯ মার্চ) রাতে শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।গ্রেপ্তার মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের দোহার জশিহাটী গ্রামের মাজহারুল ইসলামের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের ছোটকালীবাড়ির ছয়তলা ভবনের তালা ভেঙে ২০ মানসিক ভারসাম্যহীনকে নিয়ে দখলে নেন মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি। জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিষ্টিকে টাঙ্গাইল সদর থানায় আটক করেন। পরে গভীর রাতে মুচলেকা দিয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনিসাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামে স্ত্রী রওশন আরা খান বলেন, মিষ্টি আমার কাছে প্রথমে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি। বাড়িটি আমার নামে, স্বামীর নামে নয়। এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বেশ কয়েকজন জানান, মিষ্টির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। মিষ্টির চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখল দাড়ির সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাই।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশনারা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় সমন্বয়ক মিষ্টির নামে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মারিয়ম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে সাবেক এমপির বাসা দিনে দখল, রাতে মুক্ত

0

যৌথবাহিনীর অভিযানে অবশেষে টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ে মানসিক ভারসাম্যহীনদের দিয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাড়ি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ছোট কালিবাড়ীতে অবস্থিত জোয়াহেরের ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনটি দখলমুক্ত করা হয়। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।

এর আগে, শনিবার সকালে ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে প্রায় ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন। এতে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন।

জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রউশন আরা বলেন, আমাদের কাছে প্রথমে মিষ্টি ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করবো। বাড়িটি আমার নামে, আমার স্বামীর নামে নয়। আমি এ ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবি করছি।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীনদের উদ্ধার করা হয়। এসব তাদের ভারসাম্যহীনদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) বাসায় ডুকে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) সপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন। এর আগেও মিস্টির নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাসা ভাঙচুর করা হয়।

টাঙ্গাইলে অবৈধ বালুর ঘাট দখলের সালিশি বৈঠকে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

0

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবৈধ বালু ঘাট দখল ও কনসোডিয়ামের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সালিশি বৈঠকে বিএনপির দুই গ্রুপের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (০৮ মার্চ) বিকালে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ন্যাংড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে পরে ভূঞাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।আহতদের মধ্যে নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ শেখসহ তার গ্রুপের মধ্যে ১০ জন এবং অপরদিকে মাটিকাটা এলাকার বিএনপির সদস্য রিপন ডাক্তার গ্রুপের ১২ জন আহত হয় বলে জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, সিরাজকান্দী বাজার এলাকার বাগানবাড়ীর অবৈধ বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণ ও বালুর ঘাটের কনসোডিয়ামের বিপুল অংকের টাকা ভাগবাটোয়ারা করার জন্য ন্যাংড়া বাজারে শনিবার দুপুরে একটি সালিশি বৈঠক বসে।

সালিশে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, নিকরাইল বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জুলহাস উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাজিব হোসেনের উপস্থিতিতে বৈঠকের একপর্যায়ে বিএনপির আব্দুল লতিফ ও রিপন ডাক্তার দুই পক্ষের লোকজনের উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষ বাঁধে।এরপর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে দুইপক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ২২ জন আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে এক নারীসহ ৮/৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত রিপন ডাক্তার বলেন- আব্দুল লতিফ তার দলবল নিয়ে বিগত ১৬/১৭ বছর নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা নূহু মেম্বারের সাথে আতাঁত করে আমাদের জায়গা জমি অবৈধভাবে জবর দখল বালুর ব্যবসা করেছে। সেখানে তাদের কোনো জমি-জমা নেই। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের জায়গায় ঘর তুলে বালুর ব্যবসা করার ফেতর নেওয়ার জন্য দখলে নেই। এনিয়ে লতিফ ও তার লোকজন বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিতো।

এনিয়ে শনিবার দুপুরে ন্যাংড়া বাজার এলাকায় সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। লতিফের লোকজন হট্টগোল সৃষ্টির একপর্যায়ে সালিশি বৈঠক স্থগিত করে উপজেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে হঠাৎ করে লতিফের লোকজন আওয়ামী লীগের লোকজনের সহযোগিতায় আমাদের লোকজনের উপর হামলা করলে ১২ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও আহত আব্দুল লতিফ পক্ষের পলশিয়া ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন আলী শেখ বলেন, আমাদের ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাই-ভাতিজা ও রিপন ডাক্তারের লোকজন আমারদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমিসহ ১০ জন আহত হই। এ ব্যাপারে উপজেলা নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

লতিফ পক্ষের অপর আহত উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সোহাকুর রহমান সোহাগ বলেন, রিপন ডাক্তার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বহিরাগত লোকজন নিয়ে সালিশি বৈঠকের একপর্যায়ে ইট-পাটকেল দিয়ে ঢিল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের এক নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছি এবং আমিসহ ৪/৫ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছি।

এ প্রসঙ্গে নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ন্যাংড়া বাজারের জাহাজমারা স্মৃতিস্তম্ভে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই সালিশি বৈঠকে লোকজন বেশি হওয়ায় তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে রাস্তায় দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত জন।

অবৈধ বালুর ঘাট দখল ও বালু ঘাটের কনসোডিয়ামের টাকা ভাগাভাগির সালিশি বৈঠক কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আরও জানান, এটি কোনো বালুর ঘাটের বিষয় ছিল না।

এ ঘটনা ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার বিকালে নিকরাইল ইউনিয়নের ন্যাংড়া বাজারে বালুর ঘাট নিয়ে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ হচ্ছে এমন ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

0

শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার এবং তাদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার। পলাশ মুজাম সরদারের ছেলে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় একই এলাকার শাজাহান মোল্লার সঙ্গে। এরই জেরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের উপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন।

এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে সাইফুলের বড় ভাই আতাউর ও চাচাতো ভাই অলিল ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে। এ ঘটনায় আহত আহত হন অন্তত ৫ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে ভর্তি করা ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার।স্থানীয়রা জানান, খোয়াজপুরের শাজাহান খান লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে এই হামলা চালায়। বাঁচতে নিহতরা স্থানীয় মসজিদে ঢুকেও শেষ রক্ষা পায়নি। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা (সদর সার্কেল) বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ। নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি টহল ও অভিযান জোড়দার করা হয়েছে। অপরাধীরা শিগগিরই ধরা পড়বে।মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) ভাষ্কর সাহা বলেন, বালু ব্যবসার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এরইমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। এ ব্যাপারে অপরাধী প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।

- Advertisement -

Recent Posts