ডাকনাম ভোলা। পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। এই ভোলা ভদ্রতার মুখোশ পরে টাঙ্গাইলের মানুষকে ভুলিয়ে হয়েছেন এমপি, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বড় নেতা। এমপি-মন্ত্রী হওয়ার পর এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার তেমন উন্নতি না হলেও রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং গ্রামে ৩০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ ছাড়া আমেরিকায় তার রয়েছে ১২টি পেট্রল পাম্পে শেয়ার। পাশাপাশি সে দেশে সুপারশপসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। ধনবাড়ীর মুশুদ্দি গ্রামের বৈরান নদীর প্রায় ২০০ একর জমি দখল করে মায়ের নামে মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা করে ওই এলাকায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছেন টাঙ্গাইল-১ আসনের সাবেক এমপি আব্দুর রাজ্জাক ভোলা।
আওয়ামী লীগের পতন হলেও বাংলাদেশ মেডিকেল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএমএসআরআই) চেয়ারম্যান পদে বহাল রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ওই পদটি কাজে লাগিয়ে গত সাত বছরে তিনি দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি-বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে টাঙ্গাইলের তিন থানার দুটি হত্যাসহ তিনটি মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে সম্প্রতি ড. আব্দুর রাজ্জাককে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধনবাড়ীর ভাইঘাট পালবাড়ীর মতি ড্রাইভারের ছেলে রাব্বির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ড. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। সম্পর্কের কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্ক্যামিং পর্নোগ্রাফি ব্যবসায় জড়িত রাব্বির নাম সিআইডির মামলা থেকে বাদ দিতে সহায়তা করেন ড. আব্দুর রাজ্জাক।
গত ১৪ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। পরবর্তী সময়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তার বানুসহ পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন সরকারের আমলা। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথম এমপি হন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তার জীবনযাপন ছিল সহজ-সরল। এ সময় আওয়ামী লীগের এই নেতার নির্বাচনি এলাকা মধুপুর ও ধনবাড়ীতে কোনো বাড়ি ছিল না। পুরোনো মডেলের গাড়ি নিয়ে এলাকায় আসতেন। খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। আত্মীয়স্বজন ও অনুগতদের পদ-পদবি এবং জনপ্রতিনিধি বানিয়ে নেতৃত্বে বসাতে শুরু করেন। জড়িয়ে পড়েন টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, জমি দখলসহ নানা অনিয়মে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে হন কৃষিমন্ত্রী। এরপর পুরো টাঙ্গাইল জেলা চলে আসে তার একক নিয়ন্ত্রণে। জেলার বড় বড় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেন তার আত্মীয়স্বজন। ২০১৫ সালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামের বৈরান নদীর প্রায় ২০০ একর জমি দখল করে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজ। এ ছাড়া ২০২২ সালে মুশুদ্দি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। মুশুদ্দি গ্রামের বৈরান নদীটি দখল হওয়ার ফলে ওই এলাকায় প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
রাজ্জাকের ভাই মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু কায়ছার বলিভদ্র এলাকার শত শত একর কৃষিজমি মাটি ভরাট করে দখলে নিয়েছেন। সেখানে তিনি কারখানা করবেন বলে জানান স্থানীয়রা। জানা গেছে, ড. রাজ্জাক আত্মীয়দের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আমেরিকায় গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। মন্ত্রী থাকার সময় একের পর এক প্রকল্প বানিয়ে শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন। নিজের অবৈধ সম্পদ বৈধ করতে সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক আত্মীয়দের বানিয়েছেন ঠিকাদার।
আওয়ামী লীগের উপকমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে খবরের কাগজকে বলেন, রাজ্জাক ছিলেন ধনবাড়ী ও মধুপুরের ত্রাস, তার একক নেতৃত্বে চলত টাঙ্গাইল জেলা। টাঙ্গাইলের সব বড় টেন্ডারের কাজ করতেন তার আত্মীয়স্বজন।
জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে তার মামাতো ভাই হারুনুর রশিদ হিরা এবং আরেক মামাতো ভাই নূরানি কনস্ট্রাকশনের মালিক তরিকুল ইসলাম তারেক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গণপূর্তসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ ভাগাভাগির অঘোষিত নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তাদের যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছ থেকে প্রকল্পের মোট বরাদ্দের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন নিতেন সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক। বাকি কাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আত্মীয়স্বজনের মাঝে বণ্টন করতেন।
রাজ্জাক ও তার সিন্ডিকেটের অনুগত গুটিকয় ঠিকাদার ছাড়া বেশির ভাগ দরপত্রে অন্য কেউ অংশ নিতে পারতেন না। রাজ্জাকের প্রভাবে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউসের মতো বড় বড় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেন নূরানি কনস্ট্রাকশনের মালিক তরিকুল ইসলাম তারেক। এসব কাজে মন্ত্রী রাজ্জাকের ছিল সমান ভাগ। রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদকের পদটিও বাগিয়ে নিয়েছিলেন মন্ত্রী রাজ্জাকের মামাতো ভাই তারেক।
ড. রাজ্জাক কয়েকজন অনুগতকে দিয়ে এলাকাকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেন। যারা সাধারণ মানুষের জমি, বাড়ি, পুকুর দখলসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এই অনুগতদের মধ্যে ছিলেন মধুপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ সজীব, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন শিমুল, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মধুপুরের ধনবাড়ীতে রাজ্জাকের কথা না মানলে তাদের ওপর চলতে অত্যাচার ও নিপীড়ন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও তার হাত থেকে রেহায় পাননি। মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন সরকার আবু খাঁ বলেন, ‘আব্দুর রাজ্জাকের লোকজন আমাদের ওপর যে অত্যাচার করেছে, তা বর্তমান সরকারও করছে না। ওই মন্ত্রীর দাপটে আমরা মধুপুরে কোণঠাসা হয়ে থাকতাম।’
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, আব্দুর রাজ্জাক আমেরিকা ও সুইডেনপ্রবাসী ভাইদের কাছে অবৈধভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ছোট ছেলে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের রয়েছে সিঙ্গাপুর, ভারত ও মালয়েশিয়ায় হোটেল ব্যবসা। রাজ্জাকের সহোদর বাচ্চু মিয়া থাকেন আমেরিকায়। সাবেক মন্ত্রীর সহযোগিতা ও মন্ত্রণালয়ে তদবির-বাণিজ্যের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। এসব টাকা আমেরিকায় পাচার করে ১২টি পেট্রল পাম্প করেছেন বাচ্চু মিয়া।
অলিখিতভাবে সাবেক মন্ত্রী ডক্টর রাজ্জাক ওই পাম্পের শেয়ারহোল্ডার বলে জানা গেছে।
আব্দুর রাজ্জাকের আপন ভাই মুশুদ্দি ইউপির চেয়ারম্যান কায়সারের রয়েছে হাজার বিঘা জমি। বলিভদ্র এলাকায় কারখানা করার জন্য শত শত একর কৃষিজমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত কায়সার নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ২০১৫ সালে ধনবাড়ীর মুশুদ্দিতে নদীর ২০০ একর জমি দখল করে রাজ্জাকের মায়ের নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করার ফলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জাতীয় নদী কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিলেও রাজ্জাকের প্রভাবে সে অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে ড. রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুনুর রশিদ হিরার তেমন কিছু ছিল না। সাবেক মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ করদাতা হিরার ব্যাংকে ১০০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। রয়েছে পেট্রল পাম্প, কয়েক শ বিঘা জমিসহ রাজধানীর বসুন্ধরায় ১০ তলা দুটি ভবন। আরেক খালাতো ভাই দেলোয়ার বিআরটিএ থেকে অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে ঢাকায় করেছেন ফ্ল্যাট ও বাড়ি। খালাতো ভাই রিপন কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় দুর্নীতির দায়ে আরেক খালাতো ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারের বিআরটিএর চাকরি চলে যায়। ২০০৯ সালে রাজ্জাক মন্ত্রী হওয়ার পর শহীদুল্লাহ কায়সারকে চাকরি ফেরত দিয়ে বিআরটিএর পরিচালক করা হয়। এই খালাতো ভাই তিতাস ফিলিং স্টেশন নামে পেট্রল পাম্পসহ ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট এবং নামে-বেনামে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক এই মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদের নামে রয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ। মাসুদ অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি কিনেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাকের খালাতো ভাই রনু। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী হওয়ার পর ভাইয়ের দাপটে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। করেছেন মালয়েশিয়ায় হোটেল ব্যবসা।
সাবেক কৃষিমন্ত্রীর আরেক চাচাতো ভাই রেজা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার আগে মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের কাজ করতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান তিনি। সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া কাজ দেখিয়ে কৃষি দপ্তরে একচেটিয়া ঠিকাদারি কাজ করেন তিনি। বর্তমানে তিনিও হাজার কোটি টাকার মালিক।
সাবেক মন্ত্রীর মামাতো ভাই রিপন। তিনি মধুপুর শহরে ট্রলি চালাতেন। ড. রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী হওয়ার পর রাতারাতি ভাগ্য খুলে যায় তার। বর্তমানে তিনি শতকোটি টাকার মালিক। সাবেক মন্ত্রীর বোন জামাই বেলাল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে চাকরি করেন, তিনিও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
রাজ্জাকের ভাই মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু কায়ছার বলিভদ্র এলাকায় শত শত একর কৃষিজমি মাটি ভরাট করে দখলে নিয়েছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কায়ছার চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর কাছ থেকে জমি নিয়ে আর টাকা দেননি। বলিভদ্র গ্রামের মতি বলেন, ‘আমার কৃষিজমি দখল করেছেন কায়ছার চেয়ারম্যান। তার মন্ত্রী ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়েছেন। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে বারবার অভিযোগ করে কোনো সমাধান পাইনি।’
ধনবাড়ী উপজেলার ব্যবসায়ী সামাদ মিয়া জানান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ভোলার আত্মীয়স্বজন তেমন কিছুই ছিলেন না। মন্ত্রী থাকাকালীন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তারা।
ওষুধ দোকান ব্যবসায়ী সুমি ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে আমার একটি দোকান বরাদ্দ ছিল। দোকানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাবেক কৃষিমন্ত্রী আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন আপনি আর দোকান বরাদ্দ পাবেন না। তার চাচাতো ভাই হানিফকে দিয়ে আমাকে ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাব করেন এবং টাকা না দিলে আমার দোকান বরাদ্দ বাতিল করে দেবেন বলে হুমকি দেন।’ তিনি আরও জানান, চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে ভর্তি-বাণিজ্যের মাধ্যমে স্টুডেন্টদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) টাঙ্গাইলের সাধারণ সম্পাদক তরুণ ইউসুফ জানান, ড. রাজ্জাক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, বৈরান নদী দখলের তথ্য যাচাইয়ের জন্য কর্মকর্তা পাঠানো হবে। দখল হয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।