টাঙ্গাইলের কালিয়াকৈরে শ্বশুরবাড়িতে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নামের এক ছাত্রদল নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মেদি এলাকার নামাসোলা খালপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল বলে দাবি করেছেন নিহতের চাচা আমিনুর ইসলাম।
জাহাঙ্গীর আলম মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে মামাতো বোনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
নিহতের চাচা আমিনুর ইসলাম জানান, গত রমজান মাসে জাহাঙ্গীরের মামা সালাহউদ্দিনের মেয়ে শিফার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। সেই মাসেই আংটি পরানোর দিন ধার্য হয়।তবে এর আগেই অন্য এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় শিফা। পরে সালাহউদ্দিন মেয়েকে খুঁজে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর একবার বিষও পান করে মেয়েটি। তারপরও প্রায় তিন মাস আগে শিফাকে বিয়ে করে জাহাঙ্গীর।
এর পর থেকে কিছু সময় নিজের বাড়ি ও বাকি সময় শ্বশুরবাড়িতে কাটাতেন তিনি।আমিনুর ইসলাম আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতেই জাহাঙ্গীরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখতে পান জাহাঙ্গীরের নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে বিষয়টি কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে অবহিত করেন তারা।
তবে এ বিষয়ে জানতে শিফার পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসলাম ফরিদ জানান, জাহাঙ্গীর আলম সুদর্শন একজন ভালো ছেলে ছিল। অল্প বয়সে তার মৃত্যুর বিষয়টি শুনে খুবই কষ্ট পেয়েছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ পিপিএম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।