টাঙ্গাইলে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকের দাফন সম্পন্ন

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের দাফন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় শহরের বেবীস্টান্ড গোরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।

জানাজা নামাজে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন অংশ নিলেও নিজ দলের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকে কোনো প্রকার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই সাধারণ ভাবে দাফনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন।

শনিবার সকালে ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেদনা জানাতে জড়ো হলেও তার ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ও নিজ দলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। প্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুক ও তার ছেলে খান আহমেদ শুভ সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার আসামি।

ফারুকের পারিপারিক সূত্র জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ফারুক শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফজলুর রহমান ফারুক ১৯৪৪ সালের ১২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্ম নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফজলুর রহমান খান ফারুক সাবেক গণপরিষদ সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য এবং টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।১৯৬০ সালে ফারুক ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সর্বশেষ নিউজ