

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে হিমেলের দুচোখ অন্ধের ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১০০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে হিমেলের মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট মির্জাপুর আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, মির্জাপুর থানার সদ্য সাবেক ওসি রেজাউল করিম, এসআই রামকৃষ্ণ, এসআই করিম, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, জেলা আ.লীগের সদস্য মেজর (অব) খন্দকার আব্দুল হাফিজ, দৈনিক যুগান্তরের মির্জাপুর উপজেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন, গোড়াই ইউনিয়ন আ.লীগের (পূর্ব) সভাপতি আশরাফ খান, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন ভ‚ইয়া ঠান্ডু, বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি শান্তিপুর্ণ আন্দোলন চলছিলো। ওই আন্দোলনে গোড়াই ইউনিয়নের লালবাড়ি গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে হিমেলও অংশ নেয়।
আন্দোলন চলাকালে পুলিশ, আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকমীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা করে। এসময় পুলিশ ও আ.লীগ নেতাদের ছররা গুলিতে হিমেল গুরুতর আহত হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা জানায় হিমেলের দুচোখ স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে সে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় সোমবার হিমেলের মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলী আদালতে পুলিশ, সাংবাদিক ও আ.লীগ নেতাসহ ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামীর নামে মামলা করেন।