সখীপুরে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দিঘীরচালা জে আই দাখিল মাদরাসার সাবেক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে সার্কুলার অনুসারে আবেদন করা এক প্রার্থী মোঃ সুলতান মিয়া ও এলাকাবাসীসহ প্রায় দুই শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে উপজেলার দিঘীরচালা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ভুক্তভোগী ওই প্রার্থী সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

তিনি জানান গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ওই মাদ্রাসায় সহ সুপার পদ খালি থাকায় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

আমি নিয়ম মেনেই আবেদন ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। নিয়োগ পরীক্ষা হয় ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ সালে। নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা না করে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং ওই সময়ের সভাপতির পরামর্শে ডিজি প্রতিনিধি দীর্ঘ সময় পর ফলাফল স্থগিত করে চলে যান।
পরবর্তীতে মাদ্রাসায় নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা হলে সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয় স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরামর্শ দেন।
কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতি তা না করে দীর্ঘ ৯ মাস পর এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ওই সময় আবেদন করা একজনকে সহ সুপার পদে নিয়োগ দিয়ে সেপ্টেম্বরে মাসে বেসরকারি বিধি অনুসারে বেতন কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূত।

ভুক্তভোগী আরো জানান,ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ লেনদেনও হয়েছে। তাই আমার দাবী এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ দেয়া হোক। সেখানে যোগ্যতা অনুসারে যে উত্তীর্ণ হবে আমি তাই মেনে নিবো।

এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমরা জানি নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে, সুপার সাহেব আমাদেরকে তাই জানিয়েছেন,এখন দেখি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিল করিয়ে ফেলেছেন,যা একজন আলেমের পক্ষে মোটেই উচিত হয়নি।

এ বিষয়ে আরো এক পদ প্রত্যাশী আব্দুস সালাম বলেন, আমিও যথারীতি নিয়মে পরীক্ষা দেই। কিন্তু আমাদেরকে কোন প্রকার রেজাল্ট দেয় নাই। আমাদের বলেছে এই পরীক্ষা বাতিল করে আবার নতুনভাবে সার্কুলার দিবে। কিন্তু এখন শুনি আমাদেরই একজনকে নিয়োগ দিয়েছে। এটি মোনাফেকি করা হয়েছে আমাদের সাথে।
মানববন্ধনে বক্তারা মাদ্রাসা সুপার আব্দুল লতিফ এবং তৎকালীন সভাপতি ফরিদকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল লতিফ বলেন, বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এবং বিলও করা হয়েছে।


মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের ওই সময়কার সভাপতি মোঃ শেখ ফরিদ বলেন বিধি মোতাবেকই নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, সুলতান মাহমুদ নামে একজন আবেদন করেছেন, তার আবেদনটি যথাযথ বিবেচনায় এনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ নিউজ