সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ধানগড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে .কবির হোসেনর হত্যাকারীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে l কবিরের মা কমলা বেগম সাংবাদিকদের জানান,কবির হোসেন,
কালিহাতী উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের চাকুরী করতো ।
মৃত্যুর আগে একটি ফোন পাওয়ার পর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী হইতে বাহির হয়ে যান কবির হোসেন সন্ধ্যা গৃহবধু মারুফার সাথে ফোনালাপ হয়।
রাত্রী যখন গভীর হতে থাকে কিন্তু কবির হোসেন বাড়ী না ফেরাতে গৃহবধূ মারুফা চিন্তিত হয়ে উঠেন এবং মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান। পরের দিন সকাল ০৯.১৫মিনিটে খবর পায় কবিরের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের আওতাধীন দুয়ানীপাড়া ব্রীজের পাশে পাওয়া গেছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।বিকালে ডুবুরিরা দুয়ানী ব্রীজের নিচে ভীমের সাথে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়
কালিহাতী থানা পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করা হয় এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
একটি সুত্র জানায় কবির হোসেনের সাথে একই গ্রামে বসবাসরত প্রবাসী কামরুল ইসলামের স্ত্রী সুমি’র সাথে বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো,এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবৎ তোলপাড় ছিলো বলে জানাগেছে। সরজমিনে ঘুরে জানাযায়,সেই তোপের মুখেই কামরুল আক্রশের শিকার হয়ে কবির হোসেন।
এইই বিষয়ে কালিহাতী থানার এস.আই মিন্টু ঘোষ জানান,মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে আসামী কামরুলের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিতকরন সম্ভব হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ।
এ ব্যাপারে নিহত কবিরের স্ত্রী মারুফা জানায় আমার স্বামীকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে এবং খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়। উল্লেখ্য ধানগড়ার গ্রামের কবির হোসেন হত্যা হওয়ার একমাস দশদিন হয়েছে কিন্তু এখনও মামলার কোন আসামি ধরা পড়েনি রহস্যজনকভাবে।এ ব্যাপারে পরিবারের সকল সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অতি দ্রুত কবির হোসেনের খুনের খুনিদের বের করে দ্রত বিচার চাচ্ছেন।