কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা উন্মুক্ত সমাবেশে গর্বের সঙ্গে দাবি করেছেন যুবদল নেতাশেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা উন্মুক্ত সমাবেশে গর্বের সঙ্গে দাবি করেছেন জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে চাঁদাবাজি রোধে চালকলের মালিক ও এলাকাবাসীকে নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আব্দুল মাজেদ এই বক্তব্য দেন।সম্প্রতি মাজেদের এক মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে সাক্ষী রেখে এই যুবদল নেতা বলেন, “কুষ্টিয়ায় লাস্টের দিন (৫ আগস্ট) যে দিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, সর্বপ্রথম, যারা এখানে আন্দোলনকারী আছে জিজ্ঞাসা করেন, কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভাঙিছি।”
ভিডিওতে মাজেদকে বলতে শোনা যায়, “এমন একটা দিন নাই, আমার তিনটা ছেলে, আমার পরিবার, আপনাদেরই চাচি, সে নিজেও এই আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে। আপনারা আপনাদের ছেলে-পেলেদের মারেও ঠেকাতে পারেন নাই। রক্তে যখন টান দেয়, তখন জনগণের স্রোত ঠেকানো যায় না। তাই জনগণের স্রোতে শেখ হাসিনা চলে গেছে।”
যুবদল নেতা আব্দুল মাজেদ বলেন, “আমি আপনাদের বলবো, আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে কুষ্টিয়ায় আমাদের দম বন্ধ না হয়ে যায়। ক্ষমতা চিরস্থায়ী না। জনগণ ভোট না দিলে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের দম যেন বন্ধ না হয়। আতা-হানিফের মতো, খুনি হাসিনার মতো যেন পালাতে না হয়।”
এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মাজেদ বলেন, “৫ আগস্টে বিজয়ের দুই দিন পর ৭ আগস্ট খাজানগর গ্রামে এক শান্তি সমাবেশে এই কথা বলে ফেলি। এটা আসলে মনের আবেগে বলে ফেলা বক্তব্য। আমি থানায় হামলা করিনি।”
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, “এই ধরনের বক্তব্য যদি তিনি (মাজেদ) দিয়ে থাকেন, তাহলে ঠিক করেননি। বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো হবে। কেন্দ্র নির্দেশ দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”