গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘ*র্ষে স্থানীয় এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪ জন। শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলার মোক্তারপুর নাশু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নি*হত নেতার নাম এমদাদুল হক আকলু(৬৫)। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন- রাথুরা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫), ফাইজ উদ্দিন শেখের ছেলে মনজু শেখ (৬৫), রামচন্দ্রপুর এলাকার ইসমাইল শিকদারের ছেলে সীমান্ত শিকদার ইমন (২৪) এবং বজলুর সরকারের ছেলে মেহিদী হাসান সরকার (৩১)।
নিহতের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমদাদুল হক আকলু গ্রুপের মৌন সমর্থন ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের (ট্রাক) পক্ষে। অপরদিকে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ গ্রুপ সরাসরি সমর্থন দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকিকে (নৌকা)। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি ক্ষমতার পালা বদলের পর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
বৃহস্পতিবার আকলু গ্রুপের লোকজন নূর মোহাম্মদ গ্রুপকে আওয়ামী লীগের দালাল আখ্যা দিয়ে এলাকায় প্রচারণা করে। শুক্রবার সকালে আকলুর নেতৃত্বে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ৮-১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে মিছিল করে। একপর্যায়ে তারা নাশু মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিলে নূর মোহাম্মদ গ্রুপের প্রায় ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ মিলে তাদের ধাওয়া করে।
এ সময় নূর মোহাম্মদ গ্রুপের লোকজন আকলুকে আটকে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এছাড়া এঘটনায় আকলু গ্রুপের ৪ জন আহত হয়।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) নাজমুস সাকিব খান জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটা সংঘর্ষে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।