টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাল্য বিয়ের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভয়ে বর ও কনে গৃহবন্দীর খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার কীর্ত্তণখোলা গ্রামের প্রবাসী হযরত আলীর ছেলে হাসান মিয়া গত শনিবার উপজেলার ঘেচুয়া গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে বাড়ির গেটে দিনরাত তালা দিয়ে রাখেন বাল্য বিয়ের অভিযুক্ত হাসানের পরিবার।
স্থানীয়রা জানান , গত কয়েকদিন ধরে ওই বাড়ির কোন লোকজনকে বাহিরে দেখা যায় না। আমরা প্রতিবেশী হলেও ওই বাড়িতে গেলে গেটের ভিতর থেকে কথা বলে। তালা খুলে না। কারণ জানতে চাইলে তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ওই বরের বাড়িতে গেলে দেখা যায় গেটে তালা, বাড়ির ভিতরে কোন লোক নেই।
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নয় স্থানীয়রা জানান ভিতরে লোক আছে, সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে নিরব হয়ে গেছে। ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাড়ির ভিতরের প্রবেশ করলেও বাল্য বিয়ের বিয়য়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ওই পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়না মিয়া বলেন, ছেলেটি মাদকসেবী। কিছুদিন পূর্বে ইয়াবা সেবন ও বিক্রির দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ওই পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাথে সর্ম্পক ভাল নয়। এ বিষয়ে আর কোন তথ্য আমার জানা নেই।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, বাল্য বিয়ে হওয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূবক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গতকাল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছি। এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
(ঘাটাইল ডটকম)