(ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডেস্ক)বিনা দোষে কারাভোগ করা পাটকল শ্রমিক জাহালমের ক্ষতিপূরণের রায় ২৯ সেপ্টেম্বর। বুধবার সকালে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই তারিখ নির্ধারণ করে।
এরআগে জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন বলে অপেক্ষমান রাখেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিনা দোষে তিন বছর কারাভোগ করা জাহালমের ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষ হয় গেল ৮ মার্চ।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ভুল আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া রুলও জারি করেন আদালত।
পরে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চেয়েছেন। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করেন।
পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফআইআর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট ও সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট গত ১৭ এপ্রিল জাহালম কাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের আবু সালেকের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা করে দুদক। তবে সালেককে না ধরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নরসিংদীর ঘোড়াশাল পাটকলের শ্রমিক জাহালমকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখন থেকে ৩ বছর কারাবন্দি ছিলেন জাহালম। পরে ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশে কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি।