সর্বশেষ

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। 
শনিবার (১৮ মে) সকাল নয়টার দিকে উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন, দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের নুরু শেখের ছেলে আফজাল (৫২) এবং একই গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে আমির হোসেন (৫০)। নিহতরা দুইজন সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।
স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার আউলিয়াবাদ বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজ করতো। পরে শনিবার ভোরে বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ী গ্রামের হযরত আলীর ধান ক্ষেতে তাঁরা ৪ জন শ্রমিক ধান কাটতে ছিল। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে ধান ক্ষেত থেকে দৌড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় আফজাল ও আমীরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। 

এবিষয়ে বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছোহরাব আলী জানান, সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর ক্ষেতে ধানকাটতে যান। এসময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। 

কালিহাতী থানার এসআই রাজীব জানান, নিহতের স্বজনরা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করলে ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

টাঙ্গাইলে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নি/হ/ত

টাঙ্গাইলে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নি/হ/ত

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন।  

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চোদ্দপুর গ্রামের আব্দুল হোসেন ও আমির হোসেন। আব্দুল হোসেন ও আমির হোসেন সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। 

স্থানীয়রা জানায়, নোয়াবাড়ি গ্রামের হযরত মিয়ার বাড়িতে ধান কাটার জন্য সাত দিন ধরে এসেছেন তারা। সকালে ধান কাটার জন্য গেলে বজ্রপাতে আব্দুল হোসেন ও আমির হোসেন মারা যায়। পরে পাশের জমিতে থাকা শ্রমিকরা তাদের কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কালিহাতী উপজেলার বীবাসিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব মিয়া বলেন, ‘নিহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। 
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মেহেদী হাসান মিশু (১৭) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) রাত ১২টার দিকে উপজেলার কষ্টাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মেহেদী কয়েড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে। সে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিল।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল মিয়া। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান শুক্রবার মধ্যরাতে মোটরসাইকেলে ভূঞাপুর থেকে গ্রামের বাড়ি কয়েড়া ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের কষ্টাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। 

রাস্তার পাশে ছিঁটকে পড়ে যায় মেহেদী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় মেহেদীর।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন। 
কালিহাতীতে আনারস মার্কার নির্বাচনী জনসভা

কালিহাতীতে আনারস মার্কার নির্বাচনী জনসভা

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :টাংগাইলের কালিহাতী উপজেলা নির্বাচন কে ঘিরে মাঠ শর গরম হয়ে উঠেছে এরি ধারাবাহিকতায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এ এম আজাদ সিদ্দিকীর আনারস মার্কার নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 আনারস মার্কার জনসভাটি জনসমুদ্রে পরিনত।১৭ মে শুক্রবার বিকাল ৫ টায় ছোহরার আলী সভাপতিত্বে কস্তরীপারা প্রাইমারী স্কুলে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়,এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার জীবন্ত কিংবদন্তি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস এ এম আজাদ সিদ্দিকী।

 বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে স্বতঃস্পর্ত ভাবে দলে দলে মিছিল নিয়ে সভাস্হলে উপস্হিত হয় সর্বস্তরের সাধারন জনগণ। তাদের বুকে- মুখে একটাই ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে আনারস আর আনারস।

এস এ এম আজাদ সিদ্দিকীর আনারস মার্কার এই নির্বাচনী সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পাইকরা ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ,পারর্খী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান তোতা,কালিহাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাশেম অনুষ্ঠান টি সঝালনা করেন সেলিম সিকদার। 

মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

৯৪ দিনে কোরআন শরীফ মুখস্থ করল ৯ বছরের নুসাইব

৯৪ দিনে কোরআন শরীফ মুখস্থ করল ৯ বছরের নুসাইব

মাত্র ৯৪ দিনে পবিত্র কোরআনুল কারীমের হিফজ সম্পন্ন করেছে ৯ বছর বয়সি নুসাইব কুদরতী। 

নুসাইব কুদরতী রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরের রূপনগরে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। হিফজুল কোরআন বিভাগের বিস্ময়কর এ প্রখর মেধাবী ছাত্রটি খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার অধিবাসী নিয়ামত আলী কুদরতীর ছেলে।


নুসাইব কুদরতীর শিক্ষক আন্তর্জাতিক হাফেজ কারি ফরহাদ বিন নাসেরী বলেন, ‘মহাগ্রন্থ আল কোরআনের অলৌকিক মুজিজায় এমন ঘটনা বিশ্বে প্রায়ই ঘটছে।’
 
‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের শিক্ষার্থী নুসাইব কুদরতী মাত্র ৯৪ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছেন। আমরা তার সাফল্য কামনা করি। তবে কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। বরং এর পেছনে শিক্ষক থেকে শুরু করে বাবা মায়ের অনেক চেষ্টা শ্রম ও আত্মত্যাগের প্রয়োজন। একজন কোরআনে হাফেজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহ এ শিশুকে দীনের জন্য কবুল করুন’, যোগ করেন ফরহাদ বিন নাসেরী। নুসাইব কুদরতীর শিক্ষক আরও বলেন, ‘নুসাইব শুরুতে ২ পৃষ্ঠা করে সবক দিলেও, শেষের দিকে দিনে ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।’
 
প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক ক্লাস প্রি-প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। প্রত্যেক মাসে মূল্যায়ন পরীক্ষা ও ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রতিটি বাচ্চাকে কাউন্সিলিং করা হয় এবং তাকে পরবর্তী সেশনে উত্তীর্ণ করা হয়। এভাবে প্রত্যেকটি বাচ্চাকে আমরা টার্গেট ফিক্সড করে পড়াশোনা করাই। সেই টার্গেটভিত্তিক নুসাইব আন্তরিকতার সাথে মেহনত করেছে এবং শিক্ষক তার পেছনে সর্বস্ব ব্যায় করে তাকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন।’
 
নুসাইবের বাবা নিয়ামত আলী কুদরতী ও তার মা আশা করেন, তাদের ছোট্ট সন্তান একসময় বড় আলেম হবে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের খেদমত করবে। ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মামুনুর রশীদ বলেন, এ ছেলেটি পাঁচ বছর বয়স থেকে আমাদের এখানে পড়াশোনা করছে। তার বাবা একজন চাকরীজীবী। এমন অনেক বাচ্চা আমাদের এখানে আছে। দীন ও ইসলাম শিক্ষা অর্জন করছে। কোরআনে হাফেজ হচ্ছে, পাশাপাশি স্কুলের পড়াও চালিয়ে যাচ্ছে।
 
তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, মাদ্রাসার শিক্ষা এখন আধুনিকই নয়, অত্যাধুনিক। আমি চাই আমাদের সন্তানদের আমরা দীনের শিক্ষা দেব। পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত করব। আমরা অনেক বছর ধরে শত শত বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’ 
সখীপুরে মৃত সন্তান প্রসবের ৪৮ ঘণ্টা পর প্রসূতির মৃত্যু, ভাইয়ের দাবি হ/ত্যা

সখীপুরে মৃত সন্তান প্রসবের ৪৮ ঘণ্টা পর প্রসূতির মৃত্যু, ভাইয়ের দাবি হ/ত্যা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মৃত সন্তান প্রসবের ৪৮ ঘণ্টা পর নুরজাহান বেগম (৪৮) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৃতের ভাই বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, সৎছেলেদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে তাঁর বোন ও গর্ভের সন্তান মারা গেছে। তবে অভিযুক্ত ছেলেরা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, সৎমায়ের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হলেও কখনো শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

নুরজাহান বেগম উপজেলার গজারিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুল জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী। জলিলের প্রথম স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলেসন্তান আছে। চার বছর আগে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর নুরজাহান বেগমকে বিয়ে করেন আবদুল জলিল।

এলাকাবাসী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নুরজাহান বেগমের প্রসববেদনা উঠলে তাঁকে গত শনিবার প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। 

পরে রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে ওই দিন রাতেই তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। রোববার ওই প্রসূতিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরজাহান মারা যান। শেষ রাতে তাঁর লাশ সখীপুরে স্বামীর বাড়িতে আনা হয়।

নুরজাহান বেগম উপজেলার গজারিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুল জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী। জলিলের প্রথম স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলেসন্তান আছে। চার বছর আগে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর নুরজাহান বেগমকে বিয়ে করেন আবদুল জলিল।

এলাকাবাসী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নুরজাহান বেগমের প্রসববেদনা উঠলে তাঁকে গত শনিবার প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। 

পরে রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে ওই দিন রাতেই তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। রোববার ওই প্রসূতিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরজাহান মারা যান। শেষ রাতে তাঁর লাশ সখীপুরে স্বামীর বাড়িতে আনা হয়। 

মৃত নুরজাহানের ভাই নুর জামাল অভিযোগ করেন, নুরজাহানের গর্ভে ছেলেসন্তান আসায় সম্পত্তির অংশীদার হবেন সেই শঙ্কায় সৎছেলেরা এক মাস ধরে তাঁর বোনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন। এ জন্য গর্ভের সন্তানসহ তাঁর বোন মারা গেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে মৃত নুরজাহানের সৎছেলে মেহেদী হাসান বলেন, সৎমায়ের সঙ্গে তাঁদের মাঝেমধ্যে মনোমালিন্য ও কথা-কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু কখনো মারামারির পর্যায়ে যায়নি। তাঁরা মাকে কখনো শারীরিক বা মানসিক কোনো নির্যাতন করেননি। 

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রভাষ কুমার বসু বলেন, মৃতের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। 

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
টাঙ্গাইলে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত

টাঙ্গাইলে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. শিপন ইসলাম (২১) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার ছাব্বিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কলেজছাত্র শিপন ইসলাম উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চরবিহারী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। সে ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিল।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- ঈমান আলীর ছেলে মনিরুজ্জমান (৪৮), হামিদের ছেলে হাবিবুর (২২), আইয়ুব আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০)। 
আরেকজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এরমধ্যে হাবিবুরসহ অন্যজন ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। অপর আহতদের মধ্যে মনিরুজ্জামান ও দুলাল হোসেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, গোবিন্দাসী থেকে একটি মোটরসাইকেল ভূঞাপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ছাব্বিশা এলাকায় পৌঁছলে ভূঞাপুর থেকে আসা অপর একটি মোটরসাকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এতে শিপনসহ দুই মোটরসাইকেল আরোহী ৫ জন আহত হয়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন নামে একজন পরীক্ষার্থী মারা যায়। প্রতিবেশি হ্যাপি আকন্দ জানান, শিপন ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছিল। 

মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলযোগে পরীক্ষা দিতে ঘাটাইল জিবিজি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথেই ছাব্বিশা এলাকায় পৌঁছলে দুই মোটরসাইলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়ে শিপন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জুলফিকার হায়দার বলেন, আহত অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। 

পরে আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া আহত অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি জানা নেই এবং কেউ জানায়নি।